‘ছোট্ট বিশ্ব, এবার আমি ঘরে ফিরছি’ – কথাটা বলেই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার থেকে পৃথিবীর বুকে লাফ মারলেন ফেলিক্স বাউমগার্টনার৷ ৪৩ বছর বয়স্ক অস্ট্রিয়ার এই নাগরিকের শৈশবের স্বপ্ন পূর্ণ হলো৷
শুধু রোমাঞ্চ না গবেষণা?
পাঁচ বছরের প্রস্তুতি
দীর্ঘ প্রস্তুতি সত্ত্বেও অভিযানের শুরুতেই বিঘ্ন ঘটেছে অথবা শুরু করেও থামিয়ে দিতে হয়েছে৷ অবশেষে হিলিয়াম বেলুনটি ফোলানো গেছে৷ আবহাওয়াও একেবারে আদর্শ থাকায় বেলুনটি নির্বিঘ্নে বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে পৌঁছতে পেরেছে৷
শুধু রোমাঞ্চ না গবেষণা?
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে
অভিযানের সময় সাত জন ডাক্তার বাউমগার্টনারের উপর নজর রেখে চলছিলেন৷ মহাকাশচারীর পোশাকে সামান্য ছিদ্র হলেই তার ভয়াবহ পরিণাম হতে পারতো৷ ভিয়েনার বিশেষজ্ঞরা তাঁকে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যে সাফল্যের সম্ভাবনা মাত্র ৫০ শতাংশ৷
শুধু রোমাঞ্চ না গবেষণা?
চার মিনিটের পতন
৩৯,০৪৫ মিটার উচ্চতা থেকে ঝাঁপ মারলেন বাউমগার্টনার৷ প্রথম মানুষ হিসেবে কোনো সহায়তা ছাড়াই শব্দের গতির প্রাচীর ভেদ করে এগিয়ে গেলেন তিনি৷ ঘণ্টায় ১,৩৪০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে গেলেন ভূপৃষ্ঠের দিকে৷ প্রায় ৩৬ কিলোমিটার ‘পড়ার’ পর প্যারাশুট খুলতে পারলেন তিনি৷
শুধু রোমাঞ্চ না গবেষণা?
বৈজ্ঞানিক জ্ঞান লাভ?
আয়োজকরা আগেই বলেছিলেন, যে এই ঝাঁপ মহাকাশ গবেষণার জন্য মূল্যবান তথ্য এনে দেবে৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মনে সংশয় রয়েছে৷ তবে স্পনসর সংস্থা ৫ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেও বাণিজ্যিক ফায়দা তুলে নিয়েছে৷ সোশাল নেটওয়ার্কে সেরা বিষয় হিসেবে আলোচিত হয়েছে এই অভিযান৷
শুধু রোমাঞ্চ না গবেষণা?
বিশ্বজুড়ে মুগ্ধ সকলে
শুধু রোসওয়েলের কনট্রোল রুমেই পর্যবেক্ষকেরা মনিটরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন না, টেলিভিশন ও ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচারের কল্যাণে কোটি কোটি মানুষ এই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন৷ ধারাবিবরণীর সময় একজন বলেন, ‘‘এই প্রজন্ম চাঁদে নামার ঘটনা দেখে নি, তাদের জন্য এটা একটা বিকল্প বটে৷’’
শুধু রোমাঞ্চ না গবেষণা?
এক ঢিলে তিন রেকর্ড, তবে একটি ছাড়া
প্যারাশুট আগেই খোলার ফলে বাউমগার্টনারের দীর্ঘতম ঝাঁপের রেকর্ড ফসকে গেল৷ কিন্তু ঝুলিতে এলো উচ্চতম বেলুন অভিযান, উচ্চতম প্যারাশুট ঝাঁপ এবং শব্দের প্রাচীর ভাঙার রেকর্ড৷
শুধু রোমাঞ্চ না গবেষণা?
সফল অবতরণ
ভূপৃষ্ঠ স্পর্শ করে বাউমগার্টনার বললেন, ‘‘তুমি আসলে কত ছোট, তা জানার জন্য কখনো অনেক দূর পর্যন্ত উঠতে হয়৷’’